Jahid Hasan Jibon
BANDARBAN I Jahid Hasan Jibon I TRAVEL STORY I 2024
বান্দরবান নামটা শুনলেই মনে হয় পাহাড় ।আর এই পাহাড়ি রাস্তা আঁকাবাঁকা কি যে সুন্দর বলে বোঝানো যাবে না। বান্দরবানে এটা আমার প্রথম টুর। বড় আপুর চাকুরির সুবাদে গিয়েছিলাম বান্দরবান ঘুরতে। তিনদিন ছিলাম বেশ সুন্দর সময় কেটেছে।
মিরিঞ্জা বাগান পাড়া লামা উপজেলা সদরের মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স এর পাশে অবস্থিত। প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে পর্যটকদের অনাবিল আনন্দ দিতে চিরসবুজ সাজে সেজেছে বান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা পাহাড়। প্রকৃতি যেন তার উদার হাতে সুনিপুণ কারিগরের মতো মুকুটশিখর মিরিঞ্জা পাহাড়কে মোহনীয় করে সাজিয়ে রেখেছে।
সাগরপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫শ ফুট উঁচু মিরিঞ্জা পর্যটন পাহাড়। এখানে ওঠা মাত্রই দৃষ্টিগোচর হয় লতাগুল্মের দৃশ্যশোভা, পাখ-পাখালির কল-কাকলি। এসব চোখ, কান, মন সব ভরিয়ে তোলে। মাথার উপর টুকরো নীল আকাশ, প্রতিনিয়ত মেঘ ছুঁয়ে যায় মিরিঞ্জা পাহাড়ের গায়।
এছাড়া জংলি ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মাখামাখি, পাহাড়ের নীচে লুকানো ঝরণা, চূড়ায় উপজাতীয় টংঘর, জুম চাষ আর অরণ্যরাণীর ঐতিহ্যের পোশাক।
উপজাতীয়দের টং-ঘরে পাহাড়ি নর-নারীর সরল জীবনযাপন, এ যেন এক অনন্য ভুবন। মিরিঞ্জা চূড়া যেন এক সবুজ মায়া; টিলা-টক্কর, পাহাড়ি ঝরণা, কাঁকর বিছানো পথ— এখানে কতো যে আমোদ ছড়ানো পথে পথে তা এখানে না এলে বোঝাই যাবে না। এখানকার মানুষের হৃদয়ে রয়েছে দিগন্তের বিস্তার আর আতিথ্যের ঐশ্বর্য।
জুম ঘর দেখার ইচ্ছে টা অনেক আগে থেকেই ছিলো। কবে পাহাড়ে যাবো জুম ঘরে ছবি তুলবো ভিডিও করবো। এবার বান্দরবান টুরে অবশ্য সেই ইচ্ছে টা পূরন হলো।
ছবিটা বান্দরবান টুরের তৃতীয় দিনের। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মেঘের দেশ ও জুম ঘর দেখা উদ্দেশ্য রওনা হই মিরিঞ্জা বাগান পড়া ও মিরিঞ্জা ভেলির উদ্দেশ্যে। এক মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এই বুঝি বৃষ্টি এলো আবার কুয়াশা।জুম ঘরে বসে পাহাড়ের অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে সকালের সময়টা বেশ দারুণ কেটেছে। পাহাড় মানে শান্তি, ইচ্ছে করে বার বার ছুটে চলে যাই পাহাড়ে।